ছালাম কাকলী, মহেশখালী ::
মহেশখালী উপজেলা হোয়ানক ইউনিয়নের পানিছড়া বাজার এলাকার বাসিন্দা মৃত বশির আহমদের পুত্র আব্দুল মালেকের লাশ শাপলাপুর ইউনিয়নের দিনেসপুর জঙ্গল থেকে উদ্ধার করেছে মহেশখালী থানার পুলিশ। এ সময় গুলি, অস্ত্র ও ইয়াবাসহ উদ্ধারের কথা মহেশখালী থানার ইনচার্জ বললেও নিহতের পরিবার বলছে ভিন্ন কথা। এ হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিহতের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের মাঝে চলছে চরম ক্ষোভ আর হতাশা। নিহতের পরিবারের বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও ছেলে- মেয়েদের কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। নিহতের পরিবারের সদস্যরা ও বাজারের উপস্থিত লোকজন বলেছেন, প্রকাশ্যে গতকাল ১৩ আগষ্ট সকাল সাড়ে ৯ টায় শত শত জনতার সামনে পুলিশ মালেকে ঘর থেকে তুলে উত্তর দিকে নিয়ে যায়। তাকে নিয়ে যাওয়ার ৩ ঘন্টা পর শাপলাপুরের জঙ্গল থেকে তার লাশ পাওয়ায় এলাকা বাসীর মনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে মহেশখালী থানার বলছে, দুই সন্ত্রাসী দল দিনেশ পুর জঙ্গলে বন্দুক যুদ্ধ করার সংবাদ পেয়ে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঐ স্থানে গেলে অন্যান্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থলে মালেককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
হোয়ানক ইউনিয়নের পানিছড়া বাজারের একেবারে লাগোয়া মৃত বশির আহমদের পুত্র আব্দুল মালেকের বাড়ী। আব্দুল মালেকের বৃদ্ধ মা বধুন বিবি, তার দুই স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও পারভিন আক্তারসহ আত্মীয়-স্বজনরা সংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, আব্দুল মালেকের সাথে বড় মহেশখালী ইউনিয়নের জাগিরা ঘোনা গ্রামের মেম্বারসহ প্রভাবশালী গংয়ের মধ্যে কোয়ারখালী ঘোনায় কিছু জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে বার বার তারা আব্দুল মালেক কে হত্যার করার হুমকি দিয়ে আসছে। সর্ব শেষ গতকাল ১৩ আগষ্ট সকাল ৯টায় মহেশখালী থানার একদল পুলিশ দু’টি সি.এন.জি যোগে এসে ঘর থেকে গেন্জি পড়া অবস্থায় গ্রেপ্তার করে শত শত লোকজনের সামনে গাড়ীতে তোলে উত্তর দিকে চলে যায়। যাওয়ার ৩ ঘন্টার পর খবর আসে পুলিশ মালেকের লাশ শাপলাপুর ইউনিয়নের দিনেসপুর জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে। এ জঘন্য ঘটনায় পুলিশকে দায়ী করে নিহতের কন্যা পানির ছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী খতিজা বেগম কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এ হত্যার আসল তথ্য উদঘাটনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এদিকে মহেশখালী ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ জানান দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর বন্দুক যুদ্ধে মালেক নিহত হয়েছে।
পাঠকের মতামত: